ইষ্টি কুটুমের প্রভাব! বাংলা ধারাবাহিকের দেওয়া নামেই জনপ্রিয়তা এই গ্রামের

বীরভূম: টেলিভিশনের বিভিন্ন চরিত্র দর্শকের খুব কাছের হয়ে ওঠে।সেরকমই বলা যায় ড্রয়িং রুম থেকে ডাইনিং রুমের চর্চাতেও ঢুকতে পেরেছিল বাহামণি-অর্চি বাবুরা। ২০১১-এর অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলেছিল ‘ইষ্টি কুটুম’ ধারাবাহিক।একটি বেসরকারি চ্যানেলে এই মেগা জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিল।বাহা শাড়ি থেকে, পলাশবনির গ্রামের উপভাষা, সবটাই সে সময় ছিল ট্রেন্ড। পুজোর বাজার করতে গিয়ে মহিলারা দোকানে গিয়ে বাহা শাড়ি দেখতে চাইতেন।এমনকী প্রচুর মিম তৈরি হয়েছিল সেই সময় নেটমাধ্যমে। সব মিলিয়ে,এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছিল ধারাবাহিকটি।

বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় এই সিরিয়ালের শ্যুটিং হয়েছিল। কবিগুরুর লাল মাটির জেলা বীরভূম আর এই লাল মাটি জেলার লাল মাটির শহর বোলপুর শান্তিনিকেতন। এই শান্তিনিকেতন থেকে কিছু দূরে অবস্থিত সোনাঝুরির হাট আর সোনাঝুরি থেকে মাত্র পায়ে হেঁটে দুই মিনিটে দূরত্বে অবস্থিত রয়েছে বনের পুকুরডাঙা গ্রাম। সেই গ্রামে বহুদিন ধরে এই ধারাবাহিকের বিভিন্ন শ্যুটিং হয়েছে। আর সেই সময় এই শুটিং দেখতে দূর দূরান্ত থেকে বহু পর্যটকরা ভিড় জমাতেন এই গ্রামে।

আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান! প্রচার শুরু করতেই বড় গোলমাল.. নেতা বললেন, ‘যব হাতি চলে বাজার..’

আরও পড়ুন: শিক্ষক ভাই দাদার সঙ্গে এমন কাজ করলেন! লুকিয়ে পালাতে গিয়ে পড়ল ধরা

তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এই ধারাবাহিকটি বন্ধ হয়ে যায় আর তারপরে থেকেই বনের পুকুরডাঙা গ্রামটি পলাশবনি গ্রাম নামে পরিচিতি পায়। সেই গ্রামে এখন শ্যুটিং না হলেও বহু স্মৃতি থেকে গিয়েছে ।তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তারা জানাচ্ছেন ছোট থেকেই এই গ্রামটিকে বনের পুকুরডাঙা বলে জেনে আসছেন সবাই।ধারাবাহিকের পর এই গ্রামটি পলাশবনি নাম পেয়েছে। সকলেই চান, গ্রামটি সিরিয়ালের জন্য নাম অর্জন করলেও পুরনো নামেই থাক তার পরিচিতি ।

সৌভিক রায়

2024-04-26T08:44:39Z dg43tfdfdgfd