BOLLYWOOD ACTOR: বলিউডি ফিল্মি বাড়ির ছেলে, একাধিক পরকীয়ায় নাম জড়ায়, কথা বন্ধ করত বউ, বলুন তো কে

ফিল্মি পরিবারের ছেলে তিনি। বড় বংশের নাম নিয়েই পা রেখেছিলেন বলিউডে। ‘লেডিজ ম্যান’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন একসময় বলিপাড়ায়। শুধু তাই নয়, তাকে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম 'চকলেট বয়' হিসেবে উল্লেখ করা হত। 

বাবা রাজ কাপুরের ছবি ‘মেরা নাম জোকার’ দিয়ে ঋষি কাপুর শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তারপরে তিনি ববির বিপরীতে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং তারপর থেকে আর কখনোই পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শ্রীদেবী, অমিতাভ বচ্চন, পদ্মিনী কোলহাপুরীদের মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। 

ঋষি কাপুর এবং নীতু কাপুরের প্রেম অনেকটা সিনেমার মতো। একটি চলচ্চিত্রের সেটে এই জুটির দেখা হয়েছিল এবং প্রেমে পড়েন। ১৯৮০ সালে ২২ জানুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই তাঁরা দুই সন্তান ঋদ্ধিমা কাপুর এবং রণবীর কাপুরের বাবা-মা হন। বিয়ের পর, নীতু অভিনয় ছেড়ে দিয়ে, পরিবার ও বাচ্চাদের দেখাশোনা শুরু করেন। অন্য দিকে ঋষি তখনও লাখো মানুষের হার্টথ্রব।

আরও পড়ুন: হাজার টাকার শাড়ি ১০ হাজারে বিক্রির অভিযোগ! কত কোটির সম্পত্তি, লোকসভা ভোটের আগে হিসেব দিলেন রচনা

একাধিক নায়িকার সঙ্গে ঋষির প্রেমের খবর আসত। ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ফিসফাস চলত বলিমহলে। যা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন খোদ নীতু। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমি তাকে শতবার ফ্লার্ট করার সময় ধরেছি। ওর একাধিক সম্পর্কের খবর আমার কাছে এসেছে আউটডোর শ্যুটের সময়। কিন্তু আমি জানি ওগুলো শুধুই ওয়ান-নাইট স্ট্যান্ড। দুই বছর আগে, আমি এটা নিয়ে তার সঙ্গে অনেক ঝগড়া করতাম কিন্তু এখন আমি ঠিক করেছি, ছেড়ে দেব। কতদিন চালাতে পারে এসব দেখা যাক।’

আরও পড়়ুন: বউয়ের জ্বালায় বৃদ্ধ, ছড়া কেটে শোনালেন দাদাগিরিতে! মাথা নেড়ে কী জবাব সৌরভের

নীতু আরও বলেছিলেন, ‘তিনি সর্বদা ভাবছেন কীভাবে আমি তার কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে জানতে পারি। আমার অনেক বন্ধু আছে, এবং তারা আমাকে এগুলো এসে খবর দেয়। আমি কেবল তাঁকে (ঋষি কাপুরকে) বলি, 'আমি এগুলো জানি। সুতরাং চলো এগুলো ভুলে যাই।’ তাঁর মনটা খচখচ করে, কারণ আমি তাকে কখনোই কিছু বলি না। আমি কিছু সময়ের জন্য তাঁকে উপেক্ষা করি বা কথা বলা বন্ধ করে দেই।’

আরও পড়ুন: ৭৪ বছর বয়সেও বাবা রাকেশ একাজ করেন, ভাবতে পারলেন না হৃতিক, লিখলেন ‘অবিশাস্য’

‘আমি জানি তাঁর কাছে পরিবারের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। সুতরাং কেন এসব নিয়ে মাথা ঘামাব। এগুলো সবই আসলে সাময়িক। আমি এটা জানি, তিনি আমার উপর খুব নির্ভরশীল, তিনি আমাকে ছেড়ে যাবে না। আমি মনে করি পুরুষদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। তাঁরা স্বভাবগতভাবে ফ্লার্টিং করতে ভালোবাসে। তাঁদের বেঁধে রাখা সম্ভব নয়।’, ঋষিকে নিয়ে আরও বলেছিলেন নীতু।

২০১৮ সালে, ঋষি কাপুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং এক বছরের জন্য চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে উড়ে যান। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি দেশে ফিরেছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ২০২০ সালে তিনি পাড়ি দেন না ফেরার দেশে। 

2024-04-30T06:19:24Z dg43tfdfdgfd